অনলাইন ডেস্কঃ বার বার পেছাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। বাফুফের এমন সিদ্ধান্তহীনতাকে অপেশাদার বলছে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। লিগ দীর্ঘায়িত হওয়ায় খরচের বোঝা বাড়ছে ক্লাবগুলোর। খেলোয়াড়দের অনুশীলনে বিঘ্ন ঘটছে।
কঠোর লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায় বাফুফে এ ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ছে বলে জানান পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী। আগস্টের মধ্যে লিগ শেষ করার প্রত্যয় তার।
৩০ জুন ২০২১, মধ্যরাতে হঠাৎই বাফুফের বার্তা যায় ক্লাব কর্তাদের কাছে। কঠোর লকডাউনে লিগ স্থগিত অনির্দিষ্টকালের জন্যে। পরদিনই ছিল ম্যাচ। চরম বিপাকে পড়ে ক্লাবগুলো। অথচ লকডাউনের মাঝেও লিগ চলবে এমন ঘোষণাই দিয়েছিল বাফুফে।
এর ঠিক ২৩ দিন না যেতেই শুক্রবার আবারো রাতে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় বাফুফে। সাত দিনের জন্য পিছিয়ে ৩০ জুলাই শুরু হবে লিগ। শনিবার (২৪ জুলাই) খেলা ছিল ৪টি ক্লাবের। শেষ মুহূর্তে বার বার খেলা পেছানোর নির্দেশনা বাফুফের চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয় মেলে।
লকডাউনে খেলা পরিচালনা করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবুও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে খেলা আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী বলেন, বার বার লকডাউনের সময়সীমা বাড়ায় আমরা নিজেরাও বিপাকে পড়ছি। খেলা নির্ধারিত সময়ে মধ্যে শেষ করার জন্য আলোচনা চলছে।
এদিকে, বারবার লিগ পেছানোয় খেলোয়াড়দের খরচে ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত ক্লাব গুলো। এখনো পায়নি পার্টিসিপেশন মানির পুরো টাকা। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান জানান, প্রতি মাসে ক্লাব পরিচালনা করার জন্য ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। এক মাসে লিগ পেছানো মানে ১০ লাখ টাকা ক্ষতি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা চলতে পারবো না।
দুই লেগ মিলিয়ে কমপক্ষে ২৪ টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে ক্লাবগুলো। আর বাকি আছে ৬ থেকে ৭টি ম্যাচ। দ্রুত লিগ করার আকুতি ক্লাব কর্মকর্তাদের।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এজাজ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, বাফুফেকে আমরা জানিয়েছিলাম ২৪ জুন থেকে খেলা শুরু করতে পারবে না। আমাদের কথা শোনেনি। প্লেয়ার গুলা ঈদে ক্লাবে বন্দি ছিল। বাফুফে নিজেদের মত সিদ্ধান্ত নেয়। যা অগণতান্ত্রিক।
এদিকে, জোর গুঞ্জন আছে ৩০ জুলাইও লিগ শুরু করতে পারবে না বাফুফে। সূত্রঃ সময় নিউজ