অনলাইন ডেস্কঃ ভুল তথ্য দিয়ে পাকিস্তান নিয়ে টুইট করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে দেশটির সরকারের অভ্যন্তরেই সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বোল্টন শহর থেকে নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি ইয়াসমিন কোরেশি ওই টুইটের সমালোচনা করে সেটি দ্রুত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে ৭০ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যায় যুক্ত থাকা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই-জাংভির কমান্ডার ফুরকান বাংলাজায়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) বিষয়টি নিয়ে একটি টুইট করে। যেখানে বলা হয়- ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমার ও পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের এশিয়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আমান্ডা মিলিং-কে চিঠিও দিয়েছেন ইয়াসমিন কুরেশি। যেখানে ফুরকান বাঙ্গালজাই-এর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানালেও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে’, এমন ভুল টুইটের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
চিঠিতে ব্রিটিশ এই এমপি আরও লিখেছেন, এফসিডিও’র এই টুইট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি আরও লিখেন, কোনোভাবেই মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা উচিত হয়নি। সেই সঙ্গে, মারাত্মক এই ভুলের জন্যে এফসিডিওকে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সূত্রঃ সময় নিউজ