অনলাইন ডেস্কঃ সাতক্ষীরা সায়ানাইড বা কাটার মাস্টার, যে নামেই ডাকুন না কেন তাতে তারা মাহাত্ম্য কমবে না এতটুকুও। বাংলাদেশের পেস বোলিং এর নেতা। নতুন কিংবা পুরাতন যে কোনো বলে সমান কার্যকর। এবারের আরব আমিরাত মিশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তুরুপের তাস মুস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথিদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে থাকছে মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার।
২০১২ সালে পেস বোলারদের ক্যাম্পে এসেছিলেন সাতক্ষীরা থেকে নিজের ভাগ্য যাচাইয়ে। সেখান থেকে অনূর্ধ্ব-১৭ দলে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা পান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে।
২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শেষে আবারও আলোচনায় আসেন ফিজ। এরপর ডাক পান পাকিস্তানের বিপক্ষে বড়দের দলের নেটে। সেখানে তার বোলিং কারিশমা দেখে সরাসরি জাতীয় দলের জার্সি তুলে দেওয়া হয় আনকোরা এই বোলারের হাতে।
এরপর সময়ের সঙ্গে নিজের আস্তিনে যোগ করেছেন অসংখ্য অস্ত্র। কাটার, স্লোয়ার, ইনসুইং সব এখন তার হাতের ময়লা। তার মায়াবী জাদুতে হরহামেশাই বোকা বনতে হয় ক্রিকেট বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটারদের।
৫২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৮৯ ওভার বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১ হাজার ৪১৮ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৭৬টি। দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে আছেন চতুর্থ স্থানে। ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট আছে একবার আর ৪ উইকেট ২ বার। ইকোনমিটাও ৮’র নিচে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবারই অংশ নিয়েছেন ফিজ। ২০১৬ সালে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনটি। যেখানে ৮৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংটাও সেখানেই করেছিলেন কাটার মাস্টার। ২২ রানে ৫ উইকেট।
নতুন এবং পুরাতন দুই বলেই সমান কার্যকর মুস্তাফিজ। ক্যারিয়ারে নতুন বল হাতে নিয়েছেন ২৪ ম্যাচে। সেখানে উইকেট নিয়েছেন ৩৪টি। অন্যদিকে বাকি ম্যাচগুলোতে অধিনায়ক তার হাতে তুলে দেন পুরাতন বল। ২৮ ম্যাচে অবশ্য বোলিং ফিগারটা নতুনের চেয়ে ভালো ফিজের।
আরব আমিরাতের মাটিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের কোনো বোলারেরই। একবার এশিয়া কাপে খেলেছিলেন, তবে সেটা ছিল ওয়ানডে ফরমেট। মরুর দেশে পরিসংখ্যানটা অবশ্য খারাপ নয় ফিজের।
এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন দুবাই পর্বের সব ম্যাচ। আর সেই অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ ফিজ, নাড়িয়ে দেবেন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষদের। এমন স্বপ্ন তো তাকে নিয়ে দেখাই যায়। সূত্রঃ সময় নিউজ