অনলাইন ডেস্কঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে জলদস্যু মো. বাদশা মিয়া (৪০) ওরফে জুলুম বাদশা প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাত ৮টায় ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জলদস্যু মো. বাদশা মিয়া ওরফে জুলুম বাদশার প্রতিপক্ষ তারই ভাতিজা শাকিব ও বসুরহাট পৌরসভার রামদী এলাকার হাসমত উল্যা তার সঙ্গীদের নিয়ে তার পর হামলা করে। প্রথমে তাকে কুপিয়ে ও গুলিবিদ্ধ করে মৃত ভেবে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের হাফেজের পোল এলাকায় ফেলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত জুলুম বাদশা হাসপাতালের বেডে থাকা অবস্থায় জানায়, গত কয়েকদিন পূর্বে গুচ্ছগ্রামে (স্থানীয় পর্যটন এলাকা) বেড়াতে আসা দু’জন তরুণ-তরুণীকে আটক করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন, মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় তার ভাতিজা একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে শাকিব। এ ঘটনার প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে বাদশা ও তার ভাতিজা শাকিবের সাথে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। এরপর থেকে জুলুম বাদশা তার প্রতিপক্ষ ভাতিজা শাকিবকে গুচ্ছগ্রাম এলাকায় প্রবেশে বাধা দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিব বসুরহাট থেকে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে তার ওপর হামলা করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আহত জুলুম বাদশার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। জুলুম বাদশার ওপর হামলার ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। সূত্রঃ সময় নিউজ