অনলাইন ডেস্কঃ নাটোরের বড়াইগ্রামে চিকিৎসা না পেয়ে স্বামীর ওপর অভিমান করে রানী খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের শ্রীখণ্ডি গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। নিহত রানী বেগম শ্রীখণ্ডি গ্রামের আলমগীর খাঁর মেয়ে এবং মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রাণ গ্রামের খোরশেদ আলমের স্ত্রী।
জোয়াড়ী ইউপি সদস্য খন্দকার ওয়ালিউল ইসলাম শিলু জানান, রানী খাতুন মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার মেরুদণ্ডে তীব্র ব্যথা হলে বিয়ের আগে ও পরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পরিবার এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিকিৎসা করান। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার ব্যথা ভালো হয়নি।
সম্প্রতি অসুস্থতার পরিমাণ বেড়ে গেলে পুনরায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি স্বামীকে বলেন। এরই মধ্যে স্বামী রানীকে তার পিতার বাড়িতে রেখে আসেন। এতে ক্ষোভে অভিমানে শুক্রবার দুপুরে রানী সবার অগোচরে বসতঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের স্বজনদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়াই তার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রঃ যুগান্তর