অনলাইন ডেস্কঃ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে তাকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ গতিতে তাদের জবাব দেবে মস্কো। এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে ক্রেমলিন বলেছে, মস্কোর ধৈর্য পরীক্ষা নেওয়া উচিত হবে না। ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হবে ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। ইতিমধ্যে রুশ পররাষ্ট্র সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউক্রেনে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে। এ অবস্হায় পুতিনের হুঁশিয়ারি প্রথম পৃষ্ঠার পর পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকিকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। রাশিয়ার এই হুঁশিয়ারির পর পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের বাইরে ইউরোপের অন্য দেশেও যুদ্ধ ছড়াতে পারে। এমনকি অকল্পনীয় সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে রাশিয়া ও ন্যাটো। যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে রূপ নিতে পারে। তবে রুশ হুমকির পরও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনের পাশে থাকবে। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, আগামী কয়েক বছর ধরে ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে ন্যাটো প্রস্ত্তত রয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস রুশ বাহিনীকে পুরো ইউক্রেন থেকে হটিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্রঃ ইত্তেফাক